অয়েল পাম (Elaeis Guineensis) একটি পশ্চিম আফ্রিকান দেশীয় উদ্ভিদ যা এঙ্গোলা, গাম্বিয়া এবং এর মধ্যবর্তী এলাকায় দেখা যায়। ১৮৪৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার বগর বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Bogor BotanicalGarden, Indonesia) এই উদ্ভিদের চারা রোপন করার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় এর সূচনা ঘটে। ১৮৭০ এর দশকে তৎকালীন মালয় সর্বপ্রথম অয়েল পাম উদ্ভিদটি হাতে পায়। ইংল্যান্ডের কিউ (Kew, England)-এ অবস্থিত রাজকীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন (Royal Botanic Gardens) হতে উদ্ভিদটি এনে সিংঙ্গাপুরের বোটানিক্যাল মালয়েশিয়ান পাম তেলের শতবর্ষ গার্ডেনে (Singapore Botanic Garden) রোপন করা হয়। এর বাহ্যক রূপ এটিকে […] more...
এমন তেল বাজারে আছে অনেক দিন ধরে, যা ভোজ্যতেল হিসেবেই কেবল নয়, এতে অন্য অনেক গুণ আছে- বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাম তেল নামে এসেছিল বাজারে, আছেও। পৃথিবীজুড়ে নানা খাদ্য উৎপন্ন দ্রব্যে এর ব্যবহার ব্যাপক। এর হিতকর গুণের নানা কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পথ্যবিদ ও ব্যায়াম চর্চা বিশেষজ্ঞ ফেলিসিয়া স্টোলার এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিপজ্জনক ট্রান্সফ্যাটের কথা বলেছেন। গবেষণা থেকে জানা যায়, ট্রান্সফ্যাট খেলে রক্তে বাড়ে মন্দ কোলেস্টেরল, কমে হিতকরী কোলেস্টেরল এইচডিএল। প্রচলিত যেসব জনপ্রিয় খাবার ফাস্টফুড, কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট- এতে আছে ট্রান্সফ্যাট। […] more...
অনকে ভোজ্যতলে দখো যায় কবেল খাদ্যরে অংশ হসিবেইে নয়, ত্বক ও কশে পরর্চিযায়ও বশে র্কাযকর। এ তেলগুলোতে বিদ্যমান কছিু গুরুত্বর্পূণ পুষ্টি উপকরণরে জন্যই এমন হয়। এ বষিয়ে বস্তিারতি জানাচ্ছনে অধ্যাপক ডা. শুভাগত বুড়ো হলে ত্বকরে যে বহোল দশা হয়, তা নয়িে আমাদরে ভাবনার শষে নইে। ত্বক পরর্চিযায় প্রয়োজনীয় হলো এন্টি অক্সডিন্টে। আর ইদানীং যে এন্টি অক্সডিন্টে নয়িে বশে আলোচনা হচ্ছে তা হলো টকোট্রায়েনোল। ভটিামনি ‘ই’ পরবিাররে এই সদস্য প্রকৃতি থকেে আহরণ করা র্দুলভ হলেও পাম তলেে এমন পুষ্টি উপকরণ রয়ছেে […] more...
তেলটি অনেক পুরোনো। অভিজ্ঞ মহলের মতে প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে এই তেলটি মানুষ ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তাই একে নিরাপদ এবং ভোজনযোগ্য বলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়। এই তেলটি হলো পাম ফল থেকে আহরণকৃত পাম তেল। পাম ফলের এই তেল বিশ্বজুড়ে খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত অন্যান্য দ্রব্য উৎপাদনে সমানভাবে উপযোগী ও উপকারী বিবেচিত হচ্ছে। তেল উৎপন্নকারী এই ফসল একঅর্থে ভিন্নরকমের কারণ পাম ফল থেকে দু’রকমের তেল উৎপন্ন হয়। পামফলের মাংসল অংশ থেকে পাম তেল ও পাম বীজের শাঁস […] more...
বাংলাদেশের জনগণের কাছে মালয়েশিয়া ও পাম তেল একটি সমার্থক শব্দ। এর অন্যতম কারণ মালয়েশিয়া হতে আমদানীর মাধ্যমেই পাম তেল বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিচিতি পায় এবং বর্তমানে মালয়েশিয়াতে কর্মরত প্রায় ৫ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর মাধ্যমে দেশের একটি বৃহৎ জনগণের কাছে ভোজ্য তেল হিসাবে পাম তেল একটি অতি পরিচিত নাম। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পাম তেল আমদানীতে এক নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়। উক্ত বছরে দেশে পাম তেল আমদানীর পরিমাণ ছিল ১২,৫৬,৫৮১ টন যা ২০১২ সালের তুলনায় ২২.৩৩% বেশী যা উক্ত বছরে দেশে মোট তেল-চর্বি […] more...
ভিটামিন একটি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। ইহা একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ এবং মানব দেহে তা অল্প পরিমাণে দরকার। ভিটামিন প্রাণীদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। বিভিন্ন ভিটামিনের মধ্যে øেহ পদার্থে দ্রবীভূত ভিটামিনগুলো হলো এ, ডি, ই, এবং কে। আমরা এখানে ভিটামিন এ ও ই নিয়ে আলোচনা করব। ভিটামিন “এ” চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া ভিটামিন এ দেহের বৃদ্ধি ও বাহ্যিক আবরণের কোষ, চর্ম, দাঁত ও অস্থির গঠন এবং নানা রকম সংক্রামক রোগ হতে শরীরকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন ‘এ’ র অভাবে […] more...
ভিটামিন ‘ই’ এর এ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভূমিকাটা সুবিদিত। ডাক্তারের পরামর্শে বা অনেকসময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই আজকাল অনেকে ভিটামিন ‘ই’ সেবন করেন। ডাক্তাররা সাধারণত: বার্দ্ধক্য প্রতিরোধ এবং হৃদরোগের আক্রমণ থেকে বাচাঁর জন্য ভিটামিন ‘ই’ সেবনের পরামর্শ দেন। সম্প্রতি ভিটামিন ‘ই’ এর আর এক উপশমকারী গুণের কথা জানা গেছে। গবেষণায় জানা গেছে যে, ব্যায়াম পরবর্তী পেশী বেদনা লাঘবে ভিটামিন ‘ই’ বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ই’ এর ফ্রী র্যাডিক্যাল রোধী বা এ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভূমিকাই কাজ করে। এমনিতে ফ্রী র্যাডিক্যাল পেশীর ছোট-খাটো কাটাছেঁড়া মেরামত করে। […] more...
ভিটামিন ‘ই’ এর বহুবিধ গুণাবলীর কারণে ইদানিং ডাক্তারগণ প্রায় সবাইকেই বিশেষভাবে ৪০-উর্দ্ধ বয়স্কদের নিয়মিতভাবে ভিটামিন ‘ই’ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন। ডাক্তারগণের পরামর্শ অনুযায়ী আমরাও বাজারে প্রাপ্ত বিভিন্ন নামের ভিটামিন ‘ই’ সেবন করছি। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলগুলো অধিকাংশই কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত ভিটামিন ‘ই’ দ্বারা তৈরী। অথচ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে কৃত্রিম (synthetic) উপায়ে তৈরী ভিটামিন ‘ই’ অপেক্ষা প্রাকৃতিকভাবে খাদ্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভিটামিন ‘ই’ অধিক উপকারী। “সাপ্তাহিক টাইম” এর ৬ই সেপ্টেম্বর ‘৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে […] more...
ভিটামিন ‘ই’ এর উপকারী ভূমিকা নিয়ে এ যাবৎ গবেষণা কম হয়নি। তাই অনেকের কাছেই ভিটামিন ‘ই’ একটি সুপরিচিত নাম। কিন্তু ভিটামিন ‘ই’ যে দ’ুধরণের তা হয়তো অনেকের জানা নেই। প্রকৃতিতে টোকোফেরল ও টোকোট্রায়েনল―এই দুধরণের ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ভুট্টা, গম ও সয়াবীন থেকে পাওয়া টোকোফেরল ভিটামিন ‘ই’ নিয়েই বেশি গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এখন টোকোট্রায়েনল ভিটামিন ‘ই’ এর প্রতি গবেষকরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ টোকোফেরল এর চাইতে টোকোট্রায়েনলের জারণরোধী গুণ (antioxidant properties) অনেক বেশী। টোকোট্রায়েনল পাওয়া যায় পাম তেল, […] more...
মোঃ নকির উদ্দীন মালয়েশিয়ার “তরলসোনা” নামে খ্যাত পাম তেলের এর বহুমুখী ব্যবহার ও পুষ্টিগুণের কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ক্রমাগতভাবে এর জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে সত্তর এর দশক থেকে পাম তেলের ব্যবহার শুরু হলেও হালে তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পয়েছে। দেশে গত পাঁচ বছরের ভোজ্য তেল ব্যবহারের গড় হিসাব করলে দেখা যায় যে, সয়াবিন ৬০ ভাগ, পাম তেল ২২ থেকে ২৪ ভাগ এবং বাকী অংশ সরিষা তেলের দখলে। কিন্ত ২০০১ সালে পাম তেলের ব্যবহার অভাবনীয়হারে বেড়ে গিয়ে দাড়িয়েছে প্রায় […] more...
পাম তেল পাওয়া যায় পাম ফল থেকে। আর পাম ফল যে গাছে ফলে তার সাধারণ নাম হল “অয়েল পাম” আর বৈজ্ঞানিক নাম হল “এলিইস গিনিনসিস”। অয়েল পাম একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। রোপণের আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যেই এই উদ্ভিদে ফলন শুরু হয় এবং ২৫ বছর পর্যন্ত এই ফলন অর্থনৈতিকভাবে উপজীব্য থাকে। পাম ফলকে প্রক্রিয়াজাত করে দু’ধরণের তেল পাওয়া যায়। ফলটির মাংসল অংশ (মেসোকার্প) থেকে পাম তেল আহরণ করা হয়, আর বীজ বা শাঁস থেকে যে তেল পাওয়া যায় তাকে বলা হয় […] more...
মানবদেহের পুষ্টিবিধানে ভোজ্য তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য উপাদানসমূহের মধ্যে ভোজ্য তেল পুঞ্জীভূত শক্তির আধার। তাই ভোজ্য তেল আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়। এছাড়া ভোজ্য তেল দেহের টিস্যু গঠনে সহায়তা করে, জৈবিক মেমব্রেনের মূল উপাদান, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহের কুশন (Cushion) হিসেবে কাজ করে ও সেগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে, ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’ ও ‘ই’ এর উৎস ও পরিবাহক এবং ভিটামিন ‘কে’ এরও পরিবাহক। ভোজ্য তেলের মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড যা দেহের জন্য খুবই প্রয়োজন অথচ দেহ তা তৈরী করতে […] more...
আধুনিক যুগে আমরা চর্বি আতংকে ভুগছি। কারণ দেহে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চর্বি জমলে আমরা বিভিন্ন মারাত্মক রোগের শিকার হই যার পরিণতিতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এরপরও কিন্তু চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি খাদ্যানুরাগীদের আকর্ষণ কম নয়। এটা অনস্বীকার্য্য যে চর্বি খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। কাজেই ভোজন বিলাসীদের পক্ষে চর্বিযুক্ত খাবার একেবারে পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। তবে পরিমিত পরিমাণ তেল/চর্বি আহার করা দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং তা উপকারই করে। অতিরিক্ত তেল/চর্বিযুক্ত খাবার বা চর্বি মানবদেহে হজম হবে কি করে – এ প্রশ্ন অনেকের মনে […] more...
ইদানিং ‘কোলেস্টেরল’ কথাটি এত বেশি আলোচিত যে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত স্বাস্থ্য সচেতন সকল ব্যক্তির নিকটই ইহা একটি ভীতিকর শব্দ। আসলে বাস্তবে তা নয়। কোলেষ্টেরল প্রাণীদেহের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। কোলেস্টেরল সম্পর্কে পূর্ণ তথ্যের অভাবেই এই রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রসায়ন এর ভাষায় কোলেস্টেরল হল একটি লিপিড (খরঢ়রফ)। মানবদেহের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মি:গ্রা: কোলেস্টেরল এর প্রয়োজন হয় যা শরীর নিজেই প্রোটিন, তেল/চর্বি ও শর্করা (ঈধৎনড়যুফৎধঃব) হতে তৈরি করে নেয়। কোলেস্টেরল তৈরি প্রক্রিয়া প্রাণীদেহের বিভিন্ন কোষের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু […] more...
ভোক্তারা সবসময় অভিযোগ করে আসছেন যে, অধিক লাভের জন্য স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রেতারা পাম তেল ও সয়াবিন তেল মিশিয়ে বিক্রি করছেন, যদিও দেশে প্রচলিত ফুড রুল অনুযায়ী তা দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই খুচরা বিক্রেতারা যে তাঁদের অজান্তে ভোক্তাদের উপকার করে আসছেন তা জানা গেল গত ২৮শে মে ২০০৫ তারিখে ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট কর্তৃক ঢাকায় আয়োজিত “হৃদবান্ধব ভোজ্য তেল” শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা পত্র সমূহ থেকে। উক্ত সেমিনারে দেশী ও বিদেশী বক্তাদের উপস্থাপিত বক্তব্য থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য […] more...
প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভোজ্য তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে প্রায়ই বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনের এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যে, কোন ভোজ্য তেলটি আমাদের জন্য উপযোগী? সাম্প্রতিক কালে প্রচার মাধ্যমগুলোতে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য/ফিচারের ব্যাপক প্রচারণার ফলে সাধারণ ভোক্তাগণও বর্তমানে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছেন। স্বাস্থ্য রক্ষায় বিভিন্ন খাদ্যের ভূমিকা সম্পর্কেও তাঁরা আগের চাইতে অনেক সচেতন। খাদ্য প্রস্তুতিতে ভোজ্য তেল একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ভোক্তাগণ ভোজ্য তেল সম্পর্কে জানতে অধিক আগ্রহী। পত্র পত্রিকায় ভোজ্য তেল নিয়ে […] more...
বাঙালী ভোজনরসিক। বাঙালীর ইফতারীতেও চাই মুখরোচক খাবার। তাছাড়া সারাদিন রোজা রাখার পর এমনিতেই মানুষের মন চায় মুখরোচক খাবার খেতে। আর তাই আমাদের ইফতারীতে দেখা যায় ভাজাভুনা খাবারের প্রাধান্য। ভাজাভুনা খাবার তৈরিতে তেল/চর্বির ভূমিকা অনস্বীকার্য, কারণ তেল/চর্বি খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। ভাজাভুনা এমন একটি রন্ধন প্রক্রিয়া যা শুধু বাসাবাড়িতেই নয়—রেস্টুরেন্টে, ফাস্টফুড তৈরিতে, মেজবানি খানা তৈরিতে এবং খাদ্য শিল্পেও প্রয়োগ করা হয়। ভাজাভুনা খাবার তৈরিতে তেল/চর্বির প্রয়োগ খাদ্যকে শুধু সুস্বাদুই করে না খাদ্যকে পুষ্টিকরও করে তোলে। তেল/চর্বি খাদ্যকে স্বাদ ও সৌরভ প্রদান […] more...
ভোজ্য তেল/চর্বি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যখন সীমিত ছিল তখন সম্পৃক্ত/অসম্পৃক্ত তেল/চর্বি নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা ছিল না। মানুষ নির্বিবাদে প্রাণীজ চর্বি যথা মাখন/ঘি, মাংসের সংগে সংযুক্ত চর্বি ইত্যাদি খেয়েছে। কিন্তু তেলচর্বি সম্পর্কে জ্ঞানের ক্রমবিকাশের ফলে মানুষ জানতে পেরেছে সম্পৃক্ত চর্বি তথা প্রাণীজ চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিশেষ করে খাদ্যে এগুলোর অপরিমিত ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁিক বাড়ায়। তখন প্রাণীজ চর্বির বিকল্প হিসেবে উদ্ভিজ্জ চর্বির ব্যবহার শুরু হল। উদ্ভিজ্জ তেল যা সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে তাকে হাইড্রোজিনেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমাট চর্বিতে অর্থাৎ বনস্পতি, […] more...
মানব দেহের পুষ্টিবিধানে ভোজ্য তেল-চর্বি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য উপাদানসমূহের মধ্যে ভোজ্য তেল- চর্বি পুঞ্জীভূত শক্তির আধার। তাই ভোজ্য তেল-চর্বি আমাদের শরীরে শক্তির অন্যতম যোগানদাতা। এছাড়া ভোজ্য তেল-চর্বি দেহের টিস্যু গঠনে সহায়তা করে, জৈবিক মেমব্রেনের মূল উপাদান, গুরুত্বপূর্ণ অংগসমূহের কুশন (cushion) হিসেবে কাজ করে ও সেগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে, ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’ ও ‘ই’ এর উৎস ও পরিবাহক এবং ভিটামিন ‘কে’ এরও পরিবাহক। ভোজ্য তেলের মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড যা দেহের জন্য খুবই প্রয়োজন অথচ দেহ তা […] more...
বাংলাদেশ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ভোজ্য তেল ও চর্বিতে স্বয়ংসম্পূর্ন ছিল। তখন সরিষার তেল বাংলাদেশে প্রধান ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হত, যা দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে উৎপাদিত হত। এখানে উল্লেখ্য যে, সরিষার তেল বাংলাদেশে প্রাচীন কাল হতে ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও বাদাম তেল ও তিল তেল উৎপাদিত হত দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু অপর্যাপ্ত উৎপাদন ও উচ্চমূল্য সামস্টিক জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে এর ব্যবহার বাজারে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয় এবং ক্রমান্বয়ে ভোজ্য তেল […] more...
ফ্রেড গে ১৯৮৬ সালে এক মনোযোগ আকর্ষণকারী তত্ত্ব প্রদান করেন যে, এন্টি অক্সিডেন্টগুলো যথা ভিটামিন ‘ই’ ভিটামিন ‘সি’ ও বিটা ক্যারোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধে সক্ষম। তাঁর এ তত্ত্বে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। পরবর্তীতে বহু ল্যাবরেটরী পরীক্ষায় যখন দেখা গেল যে এই এন্টি অক্সিডেন্ট ধমনী গাত্রের লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এল.ডি.এল. এর অক্সিডেশন প্রতিরোধে সক্ষম তখন “এন্টিঅক্সিডেন্ট তত্ত্ব” সর্বত্র অভিনন্দিত হল। মন্দ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত এই এল.ডি.এল. এর অক্সিডেশনের ফলে ধমনী গাত্রে এথেরোস্কেলেরোটিক লেসন এর সৃষ্টি ও ক্রমবৃদ্ধি ঘটে। এন্টিঅক্সিডেন্ট […] more...